দগ্ধদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট ছাড়াও ঢাকা মেডিকেল বার্ন ইউনিট, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ, কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল, উত্তরা উইমেন্স মেডিকেল কলেজ ও মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। এসব হাসপাতালে দগ্ধদের চিকিৎসার জন্য জরুরি ভিত্তিতে রক্তের প্রয়োজন, রক্তদানে আগ্রহীদের দ্রুত হাসপাতালে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত বার্ন ইনস্টিটিউটে ৬০ জন রোগী এসেছে। বেশিরভাগই নারী ও শিশু, তাদের মধ্যে অধিকাংশ মাইলস্টোন স্কুলের শিক্ষার্থী। আহতদের অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক বলে তিনি উল্লেখ করেন।
জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, এখনো দগ্ধ রোগীদের হাসপাতালে আনা হচ্ছে এবং পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর।
মাইলস্টোন কলেজের পিআর কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ জানান, দুর্ঘটনার সময় প্রথম থেকে সপ্তম শ্রেণির ক্লাস চলছিল। বিকট শব্দে শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এবং শিক্ষকরা দ্রুত উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেন। মিজানুর রহমান নামে কলেজের এক কর্মকর্তা বলেন, বিমানটি কলেজ ভবনের মাঝখানে পড়ে এবং সঙ্গে সঙ্গেই আগুন ধরে যায়।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, প্রশিক্ষণ বিমানটি দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়ন করে এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই বিধ্বস্ত হয়। বিমানে ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম সাগর একাই ছিলেন। দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
দুর্ঘটনাস্থলে ভিড় না করে উদ্ধার কাজে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।